একবিংশ শতাব্দীর সর্বাধিক আলোচিত ক্যান্সারের নাম ব্লাড ক্যান্সার ( Blood Cancer).এমন কিছু লক্ষণ রয়েছে যা জানা থাকলে Blood Cancer নির্ণয় করতে পারবেন আপনি-ও।যদি শুরুতে রোগ নির্ণয় করে ,সঠিক চিকিৎসা না করেন তাহলে এটা যেমন আক্রান্ত রোগীর জন্য যন্ত্রণাদায়ক,তেমনই তার পরিবারে নিয়ে আসে সীমাহীন ভোগান্তি।
ব্লাড ক্যান্সার হচ্ছে শরীরের এমন এক অবস্থা যেখানে আমাদের শরীর অনিয়ন্ত্রিতভাবে রক্তকোষ তৈরি করে ।
এই রক্ত কোষগুলো স্বাভাবিক রক্তকোষের মতো নয় বরং এদের কাঠামো এমনকি কাজও স্বাভাবিক রক্তকোষ থেকে ভিন্ন।এই কারণে এরা আমাদের শরীরের ভিতরের স্বাভাবিক রক্তকোষের কাজকে ব্যহত করে।
এর সূত্রপাত ঘটে অস্থিমজ্জার (Bone Marrow) ভিতরে যেখানে রক্তকোষ গুলো তৈরি হয়।
প্রধানত ৩ ধরনের ব্লাড ক্যান্সার আছে।যেমন-
লিউকেমিয়া (Leukemia):এটা একধরনের ব্লাড ক্যান্সার যেখানে আমাদের অস্থিমজ্জা বা বোনম্যারো অনিয়ন্ত্রিতভাবে অস্বাভাবিক শ্বেতরক্তকণিকা বা WBC তৈরি করে।যার কারণে অন্যান্য রক্তকণিকা যেমন লোহিত রক্তকনিকা বা RBC এবং অনুচক্রিকা বা platelet পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি হতে পারেনা।
লিমফোমা (Lymphoma):এই ধরনের ব্লাড ক্যান্সার আমাদের লিম্ফেটিক সিস্টেম থেকে তৈরি হয়।এটি লিম্ফসাইট নামক শ্বেতরক্তকণিকার ক্যান্সার।এই ধরনকে আবার দুইভাগে ভাগ করা যায়:
মায়েলোমা(Myeloma):এটি রক্তের প্লাসমা কোষ এর ক্যান্সার।
এগুলো ছাড়াও আরও কয়েক ধরনের ব্লাড ক্যান্সার আছে
যেমন :
মূলত রক্তকোষের ডিএনএ (DNA) এর মিউটেশন এর কারণেই হয়ে থাকে ব্লাড ক্যান্সার।
এর জন্য কিছু রিস্কফ্যাক্টর (Risk Factor) কে দায়ী করা যেতে পারে:
Pic: ব্লাড ক্যান্সার এর কারণ
ক্যান্সার এর ধরণের উপর ভিত্তি করে এটিকে আমরা বিভিন্নভাবে শনাক্ত করতে পারি:
এই স্যাম্পল কালেকশন এর ব্যাপারটাকে বলা হয় বায়োপসি(Biopsy)।পরবর্তীতে এই স্যাম্পলকে পাঠানো হয় হিস্টপ্যাথলজি ল্যাব এ।
রক্ত পরীক্ষা (Blood Test)
তাছাড়াও আরও কিছু স্ক্যানিং রয়েছে।যেমন-
ক্যান্সার এর চিকিৎসা নির্ভর করে ক্যান্সার এর ধরন,অবস্থান,রোগীর বয়স,কত দ্রুত স্প্রেড করছে তার উপর।আর যত দ্রুত রোগ নির্ণয় করতে পারা যায় ভালো হওয়ার চান্স ততো বেশি হয়।
কিছু প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি গুলো হচ্ছে:
বলা হয়ে থাকে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম।তাই যেকোনো রোগের ক্ষেত্রেই সর্বপ্রথম লক্ষ্য থাকে রোগ হওয়াটাকে আটকানো।
তাই ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য আমাদের সকলকে এই ব্যপারে সচেতন হতে হবে।সর্বোপরি ভালো ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে,নিয়মিত ব্যায়াম,খেলাধুলা করতে হবে।
এভাবেই ক্যান্সার মুক্ত একটি হাসিখুশি জীবন পেতে পারি আমরা।
রোগ টি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকটি তে ক্লিক করন-
সোরিয়াসিস কী?(What is Psoriasis?): মানবদেহের অসংখ্য দুরারোগ্য অসুস্থতার মধ্যে সোরিয়াসিস অন্যতম।এই কন্ডিশনে দেহের চামড়ার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হয়।রোগাক্রান্ত স্থানে অনেক চুলকানি হয়,মাঝে মধ্যে ব্যথা হতে পরে এমনকি চুলকাতে চুলকাতে রক্ত পর্যন্ত বের হয়।এই রোগটি সম্পূর্ণভাবে নিরামযোগ্য নয়।আক্রান্ত ব্যক্তিকে আজীবন ভুগতে হয়।সোরিয়াসিস এর চিকিৎসার মূল লক্ষ্যই থাকে এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা। সোরিয়াসিস কেন…
একটা ৪২ বছরের মহিলা আসলো: Patient Inspection এ দেখলে : তার lateral 1/3 eyebrow absent. মাথায় চুল ও কম(alopecia) সে বেশ মোটাসোটা(weight gain). তার চোখের চারপাশে এবং পা ফোলা আছে(myxoedema). মুখে প্রচুর ভ্রুণ আছে(Acne). patient খুবই মন খারাপ করে বসে আছে (depression). তাকে জিজ্ঞেস করলেন আপনি কি সমস্যা জন্য…
অ্যাপেন্ডিসাইটিস কি? খাদ্য পরিপাক অথবা হজমের সময় যদি এর কিছু অংশ / মলের কিছু কণা সিকাম থেকে অ্যাপেন্ডিক্স চলে যায় তখন এপেনডিক্স ব্যাকটেরিয়ার ক্রিয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং এর কোষের মৃত্যু ঘটে থাকে । ব্যাহত ঘটে তাহলে অ্যাপেন্ডিক্সে প্রদাহ হতে পারে আর একেই বলে এপেন্ডিসাইটিস । অ্যাপেন্ডিসাইটিস হচ্ছে মানুষের তল…
কিডনি ফেইলিউর/Renal failure কি? কিডনি ফেইলিউর (রেনাল ফেইলিউর) মানে আপনার এক বা দুটি কিডনি ভালোভাবে কাজ করতে পারে না। কিডনি ফেইলিউর কখনও অস্থায়ী এবং দ্রুত বিকাশ (তীব্র)। অন্য সময় এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী (দীর্ঘমেয়াদী) অবস্থা যা ধীরে ধীরে খারাপ হয়ে যায়। কিডনি ব্যর্থতা কিডনি রোগের সবচেয়ে গুরুতর পর্যায় । এটি চিকিত্সা
Ever felt like your body is running out of fuel even after taking proper rest? That could be your thyroid, a tiny gland that has a massive impact on your mood, weight, energy, and so on. But, before you diagnose yourself (come on, we all have been there), a simple TSH test
সোরিয়াসিস কী?(What is Psoriasis?): মানবদেহের অসংখ্য দুরারোগ্য অসুস্থতার মধ্যে সোরিয়াসিস অন্যতম।এই কন্ডিশনে দেহের চামড়ার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হয়।রোগাক্রান্ত স্থানে অনেক চুলকানি হয়,মাঝে মধ্যে ব্যথা হতে পরে এমনকি চুলকাতে চুলকাতে রক্ত পর্যন্ত বের হয়।এই রোগটি সম্পূর্ণভাবে নিরামযোগ্য নয়।আক্রান্ত ব্যক্তিকে আজীবন ভুগতে হয়।সোরিয়াসিস এর চিকিৎসার মূল লক্ষ্যই থাকে এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা। সোরিয়াসিস কেন